21 Nov 2024, 02:34 pm

নতুন বিনিয়োগ নীতিমালায় পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগকারিরা পাবেন প্রণোদনা সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগসহ দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে বিনিয়োগ নীতি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর খসড়া প্রণয়নের কাজ করছে। সকল অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে এটি চূড়ান্ত করা হবে, যেখানে সবুজ অর্থায়নের ক্ষেত্রে করছাড়সহ বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকবে।
রোববার রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলে বাংলাদেশ ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)’র ৬০ বছর পূর্তি ও বিনিয়োগ মেলা-২০২৩ অনুষ্ঠানের প্যানেল অধিবেশনে বিডার নির্বাহী সদস্য (বিদেশী বিনিয়োগ উন্নয়ন) মহসিনা ইয়াসমিন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘বিদেশী বিনিয়োগকারি, বেসরকারিখাত এবং নীতি-নির্ধারক সকলের সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে বিনিয়োগ নীতি চূড়ান্ত করা হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে একটি টেকসই বিনিয়োগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।’
‘গ্রিণ ভ্যালু চেইন’ শীর্ষক এই অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের কো-চেয়ার ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আকতারের সঞ্চালনায় অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে বিল্ড চেয়ারপার্সন ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিল্লার, গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার আলোচনায় অংশ নেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের উপাচার্ষ অধ্যাপক ইমরান রহমান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ফিকির ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দু’দিনব্যপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
মহসিনা ইয়াসমিন আরও বলেন,বিশ্বব্যাংক সহজে ব্যবসা করার সূচক প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আমরা আমাদের ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়নে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট কর্মসূচি’ নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করতে যাচ্ছি-যার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে ব্যবসায় পরিবেশের সূচক নির্ণয় করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ নিরাপদ এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিনিয়োগ করা যাচ্ছে।
অধিবেশনের প্রধান অতিথি আবুল কালাম আজাদ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রয়োজন উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। হাইটেক পার্ক আছে। এখানে বিদেশী কোম্পানিকে বিনিয়োগ করার আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন,জলবায়ু পরিবতর্নের কারণে বাংলাদেশ অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সাইক্লোনসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তিনি গ্রিণ ভ্যালু চেইনে ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণের উপর গুরুত্বারোাপ করেন।
ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে অধিকাংশ কারখানার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এখানে সরকারের প্রণোদনা দেয়া জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি পোশাক কারখানাসহ অন্যান্য যেসব পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ন্যায্যা মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চিয়তা চান। তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মূল্য বেশি থাকা উচিত। বিদেশী ক্রেতাদের পরিবেশবান্ধব পণ্যের মূল্য বাড়ানোর আহবান জানান।
অধিবেশনে অন্য বক্তরা গ্রিণ ভ্যালু চেইন শক্তিশালী করতে একটি প্রগতিশীল কৌশল নির্ধারণের উপর জোর দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *